শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আলোচিত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকায় অবস্থানের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে তাকে রাজধানীতে খুঁজছে পুলিশ।
আদালতের পরোয়ানা তামিল করতে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তারে ঢাকায় অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের এএসপি সাইকুল আহমেদ ভূঁইয়া।
তিনি সোমবার রাতে বলেন, মোয়াজ্জেম সম্ভবত ঢাকায় আছেন বলে তথ্য তাদের কাছে আছে।
“ঢাকায় সম্ভাব্য সকল জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে, এখনও চলছে।”
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ওমর ফারুকও বলেন, “তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।”
আদালতের পরোয়ানার পর দুই সপ্তাহেও এই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার না হওয়ায় সমালোচনার মুখে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এদিন সকালেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “একটা লোক পলাতক হলে তাকে অ্যারেস্ট করা কষ্টকরই হয়। তবে চেষ্টার কোনো ত্রুটি হচ্ছে না। খুব শিগগিরই হয়ত শুনবেন ধরা পড়েছে।”
গত মার্চ মাসে নুসরাত যখন তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন, তখন সোনাগাজী থানার ওসি ছিলেন মোয়াজ্জেম।
ওই মামলায় নুসরাতের জবানবন্দি নেওয়ার পর তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা হয় ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। ওই মামলায় গত ২৭ মে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে।
কিন্তু এপ্রিলের শুরুতে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর সমালোচনার মুখে ওসি মোয়াজ্জেমকে সোনাগাজী থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় পুলিশের রংপুর রেঞ্জে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়।
তারপর আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল নিয়ে ফেনী পুলিশের সঙ্গে রংপুর পুলিশের ঠেলাঠেলির মধ্যে লাপাত্তা হয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম। পরে ফেনী পুলিশই ওই পরোয়ানা তামিলের কাজ শুরু করে।
ওসি মোয়াজ্জেম পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকেই বলা হলেও পরোয়ানা জারির দুদিন পর আগাম জামিন চেয়ে হাই কোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে তার আবেদন জমা পড়ে।
সোনাগাজীর এএসপি সাইকুল বলেন, “জামিনের জন্য তাকে (ওসি মোয়াজ্জেম) ঢাকায় থাকতে হবে। পুলিশ সদর দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করতে হলেও তাকে ঢাকায় অবস্থান জরুরি।”
অভিযানে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোয়াজ্জেম ধরা না দিয়ে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করতে পারেন। আমরা আদালতপাড়ায়ও নজরদারি রাখছি।”
ওসি মোয়াজ্জেম কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, সেদিকেও দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তার গ্রামের বাড়ি যশোরেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এএসপি সাইকুল।
তথ্য সূত্র : বিডিনিউজ২৪